নদীর পানি বৃদ্ধি আর দিন-রাত থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়ছে মানুষ আর গবাদি পশুর দুর্ভোগ। হচ্ছে নানান ক্ষতি। এদিকে শত শত পুকুরের মাছ ভেসে বিলের পানিতে চলে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু মাছ শিকারিরা। তারা কারেন্ট জাল আর বাদাই জাল দিয়ে শিকার করছে মণ মণ মাছ। বাধ্য হয়ে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড,মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, সোমবার সকাল ৬টায় সিংড়া পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টায় আবার বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু জানান,পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ আর ক্ষতি। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রের ১০টিতে মোট ১৫৪টি পরিবার এসেছে। এদের সঙ্গে এসেছে গবাদিপশু।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার সিংড়া,নলডাঙ্গা ও গুরুদাসপুর উপজেলায় মোট ৪৮৫টি পুকুরের পানি বৃদ্ধির কারণে তা বিলের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। মোট একশ ৯২ মেট্রিক টন মাছ ও ২ লাখ ৬১ হাজার পোনা ভেসে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ৪ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, কিছু অসাধু মাছ শিকারি অবৈধ কারেন্ট জাল ও বাদাই জাল দিয়ে বিলের মাছ ধরছে জানতে পেরে প্রশাসন বিভিন্ন বিলে অভিযান শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে নলডাঙ্গা উপজেলার হালতিবিলে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১ হাজার মিটার বাদাই জাল পোড়ানো হয়েছে। অপরদিকে বড়াই গ্রামে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকারের দায়ে এক মাছ শিকারিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন।