নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফলের। এই ফল চাষ করে লাভবান হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রাগন ফলের বাগান এবং বাগানের পরিসর। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ড্রাগন ফলের চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে অনেকের।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাণীনগরে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে। গাছে ফুল আসার ৩০-৩৫ দিন পর ফল পাওয়া যায়।
নাজমুল বলেন, ‘নিজে কিছু করতে চাই। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি শখের বশে ২০১৬ সালে প্রথমে ১০ কাটা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেছিলাম। ১০ কাটা থেকে শুরু করে বর্তমানে ৯ বিঘা জমিতে ফলের বাগান তৈরি করেছি। খরচ কম হওয়ায় অধিক লাভজনক এ ফলের চাষাবাদ।’
তিনি বলেন, ড্রাগন ফল ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি বাজারে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রাগন ফল চাষ। নাজমুল হক প্রথমে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। তিনি বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করছেন। এছাড়াও উপজেলা জুড়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় বাগান গড়ে উঠেছে। আমরা বাগানগুলোর সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। কৃষি অফিস থেকে তাদের সাবিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।