শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বাদশা বলেন, ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত রাজশাহীর মসজিদ মিশন অ্যাকাডেমি ১১ কোটি টাকা ব্যয় দেখিয়েছে। অথচ এই ব্যয় ব্যাংক চেকের মাধ্যমে করা হয়নি। নগদে খরচ করা হয়েছে। নগদে পাওনা পরিশোধ দেখানোর কারণে টাকা ব্যয়ে কোনও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়নি। নগদে ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ থাকায় সেই ব্যয় যথাযথ নয়। বরং আর্থিক বিধিমোতাবেক আত্মসাৎ হিসেবে গণ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার এলাকায় অবস্থিত মসজিদ মিশন অ্যাকাডেমি বাংলাদেশ মসজিদ মিশন রাজশাহী জেলা শাখা সমাজকল্যাণ দফতর কর্তৃক একটি সংস্থা হিসেবে বিবেচিত। সংস্থাটি ১৯৭৬ সালে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হলেও সংস্থা হিসেবে বর্তমানে এর কোনও বৈধতা নাই। ১৯৭৬ সালের পর থেকে তা নবায়ন করা হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত নয়। অথচ সমাজসেবা দফতরের নিবন্ধনকৃত সেই অবৈধ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে । অ্যাকাডেমিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে।
মসজিদ মিশন অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খান জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গত বছর অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। আগে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। সংসদ সদস্য বাদশা কি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা-ও আমার জানা নেই। তবে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগ থেকে পূর্বের অধ্যক্ষের সময়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তা আমি এখনও পড়ে দেখেনি।