গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বেশ কিছু দিন থেকেই বখাটে আব্দুল বারেক ওই বধূকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। কিন্তু দেবরের অনৈতিক প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি। আবার সামাজিকতার ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানাননি। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বাড়ির বারান্দায় মাছ কাটছিলেন ওই বধূ। এ সময় তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্বামী আব্দুল মালেক সেখানে ছিল। হঠাৎ বারেক বারান্দায় এলে মালেক বাতি নিভিয়ে দেয়। এরপর মুখ চেপে ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করে বারেক।
এই ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে নিজের স্বামী আব্দুল মালেক ও দেবর আব্দুল বারেককে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আকরামুজ্জামান জানান, বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর দুই ভাই বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলে পাঠানো হয়েছে।