ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেও থামেনি বালু উত্তোলন

নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলন


ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চললেও বগুড়ার ধুনটে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থেমে নেই। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের সুলতানহাটা গ্রামে ইছামতি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে আবারও বালু উত্তোলন চলছে। নদীর গভীর তলদেশ থেকে বোরিং করে পাইপের সাহায্যে বালু তোলায় নদীর তীরবর্তী আবাদি জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, রায়হান আহমেদ নামে এক ব্যক্তি গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সুলতানহাটা ঈদগাহ মাঠের সামনে ইছামতি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। নদীর গভীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করে তা পার্শ্ববর্তী জায়গায় জমা করে সেখান থেকে বিক্রি করছেন। অবাধে বালু উত্তোলন করায় নদীর দু’পাড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী সুলতানহাটা গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান ও আজিত মিয়া জানান, বালু উত্তোলনের কারণে তাদের এবং আত্মীয় স্বজনদের অনেক জমি ধসে গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বালু ব্যবসায়ী রায়হান আহমেদ বলেন, তার বালু উত্তোলনের অনুমতি না থাকলেও তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করছেন।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা এবং প্রায় ২০টির মতো ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। তবে সুলতানহাটা গ্রামের নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তাকে কেউ অবগত করেনি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সেখানেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।