ফারুক হোসেন (১৮) উপজেলার বাওড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে এবং সে গোপালপুর বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, ট্রেনে কাটা পড়ার খবর পেয়ে তাদের সহায়তায় রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মস্তকবিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করে। পরে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাথা ও একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
নিহতের পিতা বাচ্চু মিয়া জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৬ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই সুযোগে বন্ধুদের সঙ্গে মোবাইলে গেমে আসক্ত হয় তার ছেলে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে রেললাইনের ওপর চার বন্ধু মিলে সারি সারি বসে মোবাইল গেম- পাবজি, ফ্রি ফায়ারে মেতে উঠে। এক সময় অন্যরা চলে গেলেও বাড়ি কাছে হওয়ায় ফারুক লাইনে বসে ফ্রি ফায়ার গেম খেলছিল। এ সময় ট্রেন আসলেও বেখেয়ালেই গেম খেলার একপর্যায়ে সে ট্রেনে কেটে মারা যায়। জীবনে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও শুধু মোবাইল গেম আসক্তির কারণেই তার ছেলের অকাল মৃত্যু হলো।