নওগাঁয় চতুর্থ দফা বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

 



বন্যা কবলিত একটি এলাকা উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নওগাঁয় ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার আত্রাই এবং মান্দা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বন্যার ভাঙনে আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া, কালিকাপুর, আহসানগঞ্জ, শাহাগোলা, বিশা, পাঁচুপুর ও ভোঁপাড়ার সাতটি উনিয়ন এবং মান্দা উপজেলার কসব, বিষ্ণপুর ও নুরুল্যাবাদ ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়। এরপর সেসব এলাকায় আরও দুই দফা বন্যা হয়। এবার চতুর্থ দফা বন্যায় বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।

আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া আলতাফ হোসেন বলেন, জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাঁধ ভেঙে বন্যার আমাদের বাড়ি ঘর ডুবে যায়। এরপর পরিবার নিয়ে প্রায় একমাস বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছিলাম। আবারও সেই ভাঙা স্থান দিয়ে গত কয়েকদিনে পানি এসে বাড়িঘর ডুবে গেছে। প্রতি বছর বাঁধ ভেঙে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। বাঁধ শক্ত ও মজবুত করা হলে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতাম।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছানাউল ইসলাম বলেন, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটি ইউনিয়নই নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে। তবে হাটকালুপাড়া, কালিকাপুর ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। এই উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সম্পূর্ণভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যে প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় হাটকালুপাড়া ও কালিকাপুর ইউনিয়নে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল ও তেলসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। তাদের সরকারি সহযোগিতা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ সহযোগিতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।