মাস্ক ছাড়া ঢোকা যাবে না বগুড়ার পূজামণ্ডপে







শেষ মুহূর্তে কারিগররা প্রতিমায় তুলির আঁচড় দিচ্ছেন বগুড়ায় এবার ৬৪০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হচ্ছে। তবে করোনার কারণে তেমন কোনও আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। মাস্ক ছাড়া কোনও ভক্তকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ১৫২ কেন্দ্রে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার থেকে প্রতি মন্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্র জানায়, আগামী ২২ অক্টোবর দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে। ওই দিন মন্দিরে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠিপূজা হবে। ২৬ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জন। করোনার কারণে এবার বিজয় র‌্যালি হবে না। গত বছর ৬৬৭ মণ্ডপে পূজা হলেও এবার জেলার ১২ উপজেলার ৬৪০টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। শেষ মূহুর্তে কারিগররা প্রতিমায় তুলির আঁচড় দিচ্ছেন। কোনও কোনও মণ্ডপে বাহির থেকে তৈরি করে আনা আবার কোনও কোনও মন্দিরেই প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, এ বছর পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রস্তুতি, উদযাপন ও বিসর্জন তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সর্বক্ষণ পুলিশ ফোর্স টহল দেবে, জেলা-উপজেলা পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা সহায়তা করবে এবং পূজা মণ্ডপে প্রবেশে ‘নো মাস্ক, নো এট্রি’ থাকবে। কোনও রকম শোভাযাত্রা করা যাবে না।


বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি দিলীপ কুমার দেব জানান, এবার কোনও আরতি, বিজয় মিছিল ছাড়াই তাদের দূর্গোৎসব হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। মন্দিরের বাহিরে কোন আলোকসজ্জা থাকবে না। আশপাশে কোনও মেলা বসবে না। সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন।

শহরের চেলোপাড়া নববৃন্দাবন হরিবাসর মন্দিরের পুরোহিত সুশীল কুমার মৈত্র জানান, পূজার সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। শিল্পীরা প্রতিমায় তুলির শেষ আঁচড় দিচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, করোনার কারণে সরকার নির্দেশিত সকল কিছু মেনে চলা হবে। ইতিমধ্যে বিষয়টি ভক্তদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলা বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর শাহজাহান আলী জানান, ৬৪০টি মন্ডপের মধ্যে ১৫২টি ঝুঁকিপূর্ণ, ২৬৭টি কম ঝুঁকিপূর্ণ ও ২২১টি সাধারণ। ঝঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মণ্ডল জানান, জেলার ১২ উপজেলার ৬৪০টি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।