করোনার প্রাদুর্ভাব: সচেতনতায় ভাটা সিরাজগঞ্জবাসীর

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করছে মানুষকরোনার প্রকোপ থেকে এখনও মুক্ত নয় দেশের মানুষ। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। করোনার শুরুর দিকে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যে প্রবণতা ছিল, এখন তা অনেকাংশেই কমে গেছে। অপরাপর জেলার মতো সিরাজগঞ্জের মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। গ্রাম ও শহর সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে করোনা সচেতনতায় ভাটা পড়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আসন্ন শীতে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করছে মানুষশহরের হাটে-বাজারে দেখা যায়, যারাও বা মাস্ক পরে এসেছেন, তারা তা খুলে পকেটে বা থুতনিতে রেখেছেন। কেউ কেউ মোবাইলে বা পরিচিতজনের সঙ্গে কথা বলার সময় মাস্কের ওপর বার বার হাত রাখছেন, খুলছেন বা নাড়াচাড়া করছেন। বাজারে ক্রেতাসাধারণের কাছে পণ্যের দাম, গুণাগুণ ও মান নিয়ে আলোচনার সময় মাস্ক খুলে কথা বলছেন বিক্রেতারা। ঢিলেঢালা ও দুর্বল সচেতনতা দেখে মনে হচ্ছে যেন করোনা আপাতত নেই। জেলা শহরে কদাচিৎ মাস্ক ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া গেলেও গ্রামাঞ্চলের চিত্র উল্টো। খুঁজে পাওয়া ভার মাস্ক ব্যবহারকারী।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নভেম্বর থেকে ফের কড়াকড়ি অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।’

সামাজিক দূরত্ব না মনে জনসমাগমজেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ সচেতনতা বিষয়ে বলেন, ‘শহরবাসীর মধ্যে কিছুটা সচেতনতা দেখা গেলেও শহরতলী বা গ্রাম-গঞ্জে মানুষের মধ্যে অসচেতনতা বেড়েছে। অভিযান চলছে, তারপরও সচেতনতা সেভাবে বাড়ছে না।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় গত ১০ মার্চ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ৪ হাজার ৭২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হিসাব মতে, এ পর্যন্ত জেলায় ১৩ জন করোনায় মারা গেছেন। গণসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।’