থানা হাজত থেকে পালালো আসামি



নাচোল থানা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে অটোরিকশা চালক তাজিমুল (১৭) হত্যা মামলার আসামি রুবেল থানা হাজত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


রবিবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার নাম করে সে থানার দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে পলাতক রয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  
নিহত ওই অটোরিকশা চালক গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।  
নাচোলের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, রবিবার রাতে থানার কনেস্টবল জয়নাল আবেদীন রুবেলকে নিয়ে দোতলার টয়লেটে যায়। এ সময় রুবেল হাতকড়াসহ দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে সে পলাতক।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার পর অটোরিকশা নিয়ে নিখোঁজ হয় তাজিমুল। তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করার জন্যই মূলত আসামিরা তাকে নাচোল থেকে নেজামপুরের চিনিশল্লায় ভাড়া করে নিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তাকে হত্যা করে মাটির নিচে পুতে রাখে। পুলিশ ওই রাতেই ঘটনাস্থল থেকে তাজিমুলের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরের দিন শুক্রবার সকালে তাজিমুলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।  
নাচোল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয় জনকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় রুবেল এবং তার ছোট ভাইকেও আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের ছেড়ে দিলেও রুবেলকে আটক করে রাখে পুলিশ।
পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব জানান, নাচোল থানা থেকে আসামি রুবেল পালানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। কিন্ত এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার মূল আসামি হযরত আলীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে আসা হচ্ছে। 

এ ঘটনায় নিহতের নানা আব্দুল ওয়াহাব বাদী হয়ে নাচোল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ মোবাইল ট্রাকিং এবং তাজিমুলের মোবাইল কললিস্ট চেক করে রুবেল ও হয়রতের কথপোকথনের বিষয়টি জানতে পারে এবং সন্দেহ করে। পরে রুবেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা থেকে প্রধান আসামি হয়রতকে গ্রেফতার করা হয়।