ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার

গ্রেফতার ইউপি সদস্যবগুড়ার ধুনটে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর এক মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ওই মামলার ২ নম্বর আসামি। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে বগুড়া সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ধুনট থানা পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে এক নারীসহ আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধুনটের গোপালনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) ফজলুল হক বাবু দেউরিয়া গ্রামের মৃত সামসুল হকের ছেলে। তবে মামলা প্রধান আসামি মাসুদ রানা এখনও পলাতক রয়েছেন। উল্লেখ্য, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসানুল হক আসামিদের পক্ষ নেওয়ায় তাকে আগেই পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত প্রধান আসামি মাসুদ রানা গত ১৬ জুলাই একই গ্রামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় অপহরণ করে। এরপর তাকে এক মাস আটকে রেখে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর মা গত ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মাসুদ রানা, ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই অবস্থায় গত ২৪ আগস্ট ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনায় রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করালে রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।

মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামি আবদুল মান্নান ও সাথী খাতুনকে গ্রেফতার করে। ওসি জানান, গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামি মাসুদ রানাসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।