স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জনগণকে দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করতে উপজেলার কাটরাশইন বাজার থেকে গহেলাপুর পর্যন্ত মাটির প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ২০১৩ সালে ইট দিয়ে সোলিং করা হয়। এদিকে গহেলাপুর যাওয়ার রাস্তাটির কিছু অংশ পাকা করা হয়েছে। বর্তমানে কাটরাশইন বাজার থেকে পোঁওয়াতাপাড়া গ্রাম পর্যন্ত সোলিং রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে কাটরাশইন, পোঁওয়াতাপাড়া, গহেলাপুরসহ ৪-৫টি গ্রামের মানুষের
প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হয়। চলাচলের জন্য এটি একমাত্র পথ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে, সেখানে গ্রামীণ এই রাস্তারটি সংস্কারের কোনও খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
ভ্যানচালক সুমন হোসেন বলেন, ‘কাটরাশইন বাজার থেকে পোঁওয়াতাপাড়া এলাকা পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে গাড়ি নিয়ে যেতে হয়। যাত্রী নিয়ে যাওয়া তো দূরের
কথা, খালি গাড়ি নিয়ে যাওয়ায় কষ্ট হয়ে যায়।’ দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
স্থানীয় বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আলম সফু বলেন, ‘রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই সংস্কার কাজ করা হবে।’
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহিদুল হক বলেন, ‘সোলিং রাস্তার সংস্কার কাজ মূলত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ থেকে করে। তবে রাস্তার যে বেহাল অবস্থার কথা শুনেছি, তাতে রাস্তাটি পাকাকরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা হবে।’