পদ্মার চরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০, আটক ৩

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মার মাঝখানে চৌমাদিয়া চরে এই ঘটনা ঘটেছে।

এদিন (রবিবার) সন্ধ্যায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনের বাড়ি থেকে বিজিবি’র পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আটককৃতদের নাম জানাননি।

জানা যায়, বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চরের মজনু হোসেন দর্জি ও দিলা ইসলাম ব্যাপারি মধ্যে জমির আগাছা পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর আক্রমণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চৌমাদিয়া চরের আদম আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩০), অলি ঢালীর ছেলে লিটন ঢালী (৩৫), সামসুল ইসলামের ছেলে দুলাল দর্জি (৩০), দিলু দর্জির স্ত্রী মরিয়ন বেগম (৩৫)।
এদিকে নুরুল ইসলামের ছেলে ইদ্রিস আলী, আলিম আলী দর্জির ছেলে ইয়ার আলী, সেকেন্দার আলীর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন, মজনু দর্জি লোহার রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়াও মরিয়মের বাম পায়ে, রাজ্জাকের বুকে, লিটন ঢালীর পেটে, দুলালের পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোলাইমান হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে ইদ্রিস আলী ছাড়া সবাইকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সোহেল রানা, সোলাইমান হোসেন, সুফিয়ান হোসেন জানান, মজনু হোসেন দর্জির কলাবাগানের সাথে দিলা ইসলাম ব্যাপারির জমি রয়েছে। সেই জমিতে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য দিলা ইসলাম ব্যাপারি আগুন দেয়। সেই আগুনে মজনু দর্জির কলা বাগানের ক্ষতি হয়। এই বিষয়টি দিলা ইসলাম ব্যাপারিকে জানাতে গেলে উল্টো মজনু দর্জিকে মারপিট করা হয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুক, লাঠি, হাসুয়া, লোহার রড নিয়ে সংঘর্ষ হয়।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে এক আটককৃত ব্যক্তির বাড়ি থেকে বিজিবি’র পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।