এসএসসি পাস করেই উচ্চ ডিগ্রিধারী ডাক্তার!

পড়ালেখা করেছেন এসএসসি পর্যন্ত। ওষুধের ফার্মেসির ব্যবসা করছিলেন। তবে লোভ বেড়ে যাওয়ায় এতেই থামেননি, পরিচালনা করছিলেন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেখানে নিজের নামের পাশে এটা সেটা ডিগ্রি লাগিয়ে ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখতেন, লিখতেন প্রেসক্রিপশন। যদিও তার প্রেসক্রিপশনে আবার লেখা থাকতো কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট। বাস্তবে তিনি সেটিও নন। দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে এভাবে চলেছে তার প্রতারণা, আয় করেছেন লাখ লাখ টাকা। তবে শেষরক্ষা হলো না। খবর ঠিকই জেনে যায় র‌্যাব। এরপর এলিট বাহিনীটির অভিযানে নামে, পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে সিলগালা করা হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠান। আর মালিককে দেওয়া হয়েছে ৬ মাস ১৫ দিনের জেল।

নাটোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান রবিবার দুপুরে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতারকের নাম ইদ্রিস আলী (৫০)। সে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার আফের উল্লাহর ছেলে।

নাটোর র‌্যাব অফিসের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মো. মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এএসপি জানান, সদর থানাধীন দরাপপুর বাজার এলাকার ইলা ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট ফার্মেসির মালিক ইদ্রিস আলী দীর্ঘদিন থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। তিনি উচ্চ ডিগ্রিধারী চিকিৎসক হিসেবে সেখান নিয়মিত প্রেসক্রিপশন লিখতেন। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।

গোপনে এ সংবাদ জেনে রবিবার দুপুরের আগে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র‌্যাব। এসময় বেশ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম জব্দ ও মালিককে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল আইন ২০১০ এর ২৯ (২) এবং ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর (৫৩) ধারা অনুযায়ী তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। যেহেতু প্রতারক আসামি জরিমানার টাকা পরিশোধ করেনি তাই তাকে ৬ মাস ১৫ দিন কারা ভোগ করতে হবে বলে জানান এএসপি মাসুদ রানা।

তিনি আরও বলেন, আসামিকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছে।