স্বামীকে মোটরবাইক না কিনে দেওয়ায় মাকে হত্যা করে ববি

সম্প্রতি প্রবাসী খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় ছোট মেয়ের। কিছু দিন পর থেকেই ওই মেয়ের দাবি ছিল স্বামীকে মোটরবাইক কিনে দিতে হবে। কিন্তু মা রাজি হচ্ছিলেন না। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে ব্লেড দিয়ে মায়ের গলা কেটে দেয় সে। হত্যার পর মায়ের আঁচলে বাঁধা চাবি নিয়ে ঘর থেকে সোনার গহনা আর নগদ টাকাসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে নেয়। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে নাটকও করে চমৎকার। কিন্তু বিধি বাম। অবশেষে সিআইডি ও জেলা পুলিশের প্রচেষ্টায় ধরা খেলো ওই মেয়ে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসপি লিটন কুমার সাহা জানান, সোমবার বিকালে গুরুদাসপুরের নাড়িবাড়ি এলাকায় এক গৃহবধূকে নিজ ঘরে জবাই করে হত্যা করার খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই সুলতান খান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। নিহতের ছোট মেয়ে ববির অসংলগ্ন কথা ও আচরণে সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়। একপর্যায়ে ববি তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।

ববির বরাতে এসপি আরও বলেন, গুরুদাসপুর উপজেলার উত্তর নাড়িবাড়ি এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগমের ছোট মেয়ে ববির প্রায় ৬ মাস আগে বিয়ে হয়। তার স্বামী রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার বাবলিপুরের অধিবাসী সোহেল রানা মালয়েশিয়া প্রবাসী। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই ববি স্বামী সোহেলকে মোটরবাইক উপহার দেওয়ার দাবি জানায় মা সেলিনার কাছে। কিন্তু মা তাতে রাজি হয়নি। গত ২১ মার্চ দুলাভাই আরিফুল ইসলামের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি থেকে মায়ের বাড়ি আসে ববি। ২২ মার্চ মা-মেয়ের তর্কাতর্কি হয়। এরপর বিকালে মায়ের গলায় ব্লেড দিয়ে কেটে দেয় ববি। এ সময় শ্বাসনালি কেটে রক্তক্ষরণে মারা যান সেলিনা।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ববি স্বীকার করে মায়ের মৃত্যুর পর তার ৯ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ১৬ হাজার টাকাসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ হাতিয়ে নেয় সে। ওই গহনা, টাকা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।