রাজা প্লাজায় নিহত ও নিখোঁজদের বগুড়ায় স্মরণ

রানা প্লাজা ধসের অষ্টম বার্ষিকীতে নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্মরণে, আহত, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আইন সংশোধন করে ওই হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে বগুড়া জেলা সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে শহরের সাতমাথায় প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধনে আর যে দাবিগুলো তোলা হয়েছে সেগুলো হলো ২৪ এপ্রিলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্মেন্টস্ শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা, কর্মক্ষেত্রে অবহেলাজনিত মৃত্যুতে আজীবন আয়ের সমান ৪৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ, রাজা প্লাজা ধসে আহতদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা, বেআইনি শ্রমিক ছাঁটাই ও লে-অফ বন্ধ, করোনায় কর্মহীন সকল শ্রমিকের পূর্ণ বেতন-ভাতা এবং লকডাউনের এক মাসের খাবার ও নগদ সহায়তা প্রদান, করোনা সংক্রমিত শ্রমিকের চিকিৎসা, মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিশ্চিত করা।

বগুড়া জেলা সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি শ্রমিক নেতা সাইফুজ্জামান টুটুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের জেলা আহ্বায়ক কমরেড অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু, শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা মাসুদ পারভেজ, সহ-সভাপতি শিব শংকর শিবু, যুগ্ম সম্পাদক সুরেশ চন্দ্র দাস মনো, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশে পোশাক শিল্পে সবচেয়ে ভয়াবহ কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার অষ্টম বছর পার হলেও ১১ শতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু, তিন শতাধিক শ্রমিক নিখোঁজ ও তিন সহস্রাধিক মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি।

বিচারহীনতার এই সংস্কৃতিই কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের আরও বেশি নিরাপত্তাহীন করেছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার অস্বীকার করতে দায়িত্বহীন আচরণ করতে মালিকদের উৎসাহিত করে।