করোনায় ৯ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এত কম বছর বয়সী শিশুর মৃত্যুর ঘটনা এটিই প্রথম বলে দাবি করেছেন অনেকেই। এতে নতুন কোনও সংক্রমণ আসছে কিনা তার সার্বিক বিষয়ে রামেক কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের দেখতে বলেছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) শিশুটির মৃত্যু হলেও শনিবার (৮ মে) তা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। মৃত শিশুটির নাম তাওহিদ (৯)। সে রাজশাহী নগরীর মালদা কলোনির হুমায়ুন কবিরের ছেলে।

রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এত অল্প বয়সে মৃত্যুর পেছনে শিশুটির কিডনি সমস্যাটি মূল বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ করোনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে যাদের বয়স বেশি, যাদের ডায়াবেটিক, কিডনি, লিভার ও ফ্যাট বেশি। তবে বিশ্বের অনেক দেশে ছোট বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘটনা আছে। তবে দেশে আগে করোনায় এত কম বয়সী শিশু মারা যায়নি।

শিশুটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল জানিয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২৬ এপ্রিল নমুনা দেয় শিশুটি। ওই দিন তার নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ আসে। পরের দিন শিশুটিকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত বুধবার (৫ মে) তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা যায়। তার কিডনির সমস্যা ছিল।

শিশুটির আত্মীয় ও রামেক হাসপাতালের সিনিয়র নার্স কোহিনুর বেগম জানান, কিডনির সমস্যার কারণে গত জানুয়ারিতে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলে দেড় মাস আগে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এর কিছুদিন পর থেকে জ্বরে ভুগছিল শিশুটি। ঢাকায় চিকিৎসার সময় চিকিৎসক বলেছিলেন শিশুটির কিডনি ৬০ শতাংশ সমস্যায় ছিল। করোনার প্রকোপ বেশি হলে তাকে বাসায় থেকে সেবা নেওয়ার বিষয়ে জানানো হয়।

এদিকে নাম না প্রকাশে শিশুটির এক আত্মীয় অভিযোগ করে বলেন, আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে শেষ মুহূর্তে। আরও আগে তাকে আইসিইউতে নেওয়া প্রয়োজন ছিল।