সাইকেলে ঢাকা থেকে বগুড়ায় মৌসুমি

করোনাকালে লকডাউনে সরাসরি পরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকের মতো আটকা পড়েছিলেন মৌসুমি আকতার এপি। তবে নাড়ির টান ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির ইচ্ছা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার সত্ত্বেও বাইসাইকেলে ঢাকা থেকে ২৫৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বগুড়ার সান্তাহারের রথবাড়ি এলাকার বাড়িতে পৌঁছেছেন মৌসুমি। তিনি ‘টিটাগাং গ্রামার স্কুল ঢাকা’য় শিক্ষকতা করেন।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে ট্রেন ও দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় স্কুল থেকে ছুটি পেলেও বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে কীভাবে ঈদ করবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন এপি। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আলোচনার একপর্যায়ে বাইসাইকেলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঈদ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত ৩ মে বিকাল ৫টা ৩৩ মিনিটে এপি ঢাকার গোলাপবাগের বাসা থেকে বাইসাইকেলে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ৪ মে প্রায় ১৪ ঘণ্টায় ২৫৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে পৌঁছেন।

মৌসুমি আক্তার এপি জানান, লকডাউনের কারণে ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ। গণপরিবহনে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরতে হবে। তাই এ সিদ্ধান্ত। মহাসড়ক ছয় লেন হওয়ার কারণে সাইকেল চালাতে তেমন সমস্যা হয়নি। তবে যমুনা সেতুতে অনুমতি না থাকায় তিনি তার সহ-সাইক্লিস্ট কার্গোতে পার হয়েছেন।

ছোটবেলায় বাইসাইকেল চালানো শিখলেও এপি মূলত গত ২০১৭ সাল থেকে সাইক্লিস্ট। এছাড়াও তিনি একাধারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি, সাইক্লিস্ট, অ্যাথলেট ও ম্যারাথনিস্ট।

বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভার প্যানেল মেয়র সার্জিস আলম রতন জানান, এপি তালুকদার নারী হয়েও যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা অভাবনীয়। তার এমন সাহসিকতা অন্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা।