সিরাজগঞ্জে বজ্রাঘাতে স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরে বজ্রাঘাতে স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (০৬ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা, উধুনিয়া, শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ও নরিনা ইউনিয়নে এ বজ্রাঘাতের ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চর আঙারু গ্রামের আমানত হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২৬), নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে আলহাজ বাবুর্চি (৫০), সলঙ্গা ইউনিয়নের আঙারু বাঘমারা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের আগদিঘল গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে উধুনিয়া মানিকজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ফরিদুল ইসলাম (১৫)।

কায়েমপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম বলেন, বিকেলে আব্দুল্লাহ বাড়ির পাশের মাঠে ধান কাটছিলেন। এ সময় ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

নরিনা ইউপির বাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, বিকেলে বাতিয়া গ্রামের আলহাজ বাবুর্চি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে মাঠে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রাঘাত শুরু হলে দুজন দৌড়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বজ্রাঘাতে আলহাজ বাবুর্চির মৃত্যু হয়।

উধুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, বিকেলে ফরিদুল ইসলাম মাঠে ধান কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ধান কাটা বাদ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। আগদিঘল গ্রামের কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফি কামাল শফি ও আঙারু কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে দরিয়াল বিলে খাদ্য খাওয়ানোর জন্য হাঁস নিয়ে যান রফিকুল ইসলাম। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।