মারপিটে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু, ঘেরাও করে তিনজনকে আটক

বগুড়ার সোনাতলায় শিশুর ঢিল মারার প্রতিবাদ করায় মারপিটে মনোয়ারা ওরফে মনো পাগলী (৬৫) নামে এক মানিসক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২০ জুন) বিকালে উপজেলার মহিচরণ মধ্যপাড়ায় এ মারপিটের ঘটনায় তিনি সোমবার (২১ জুন) ভোরে মারা যান বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। এ ঘটনায় সকালে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মনোর প্রতিবেশী এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সোনাতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর বাবা, মা ও দাদিকে আটক করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ওসি রেজাউল করিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে থানায় আনা হয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আটকরা হলেন- বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মহিচরণ মধ্যপাড়ার কৃষক শহিদুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী সিমা আকতার (৩৫) ও মা আমেনা ওরফে ওবেদা (৬৫)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মহিচরণ মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত করিম উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা ওরফে মনো মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। গ্রামবাসী তাকে ‘মনো পাগলী’ বলে ডাকে। রবিবার বিকালে প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামের চার বছরের ছেলে মোত্তালেব মনোকে ডেকে বিরক্ত করে ও ঢিল ছুঁড়ে। এতে সে আঘাত পায়। পরে মনো পাগলী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে ওই শিশুর বাড়িতে যান। এ সময় শিশুর মা সিমা আকতার রেগে গিয়ে কাঠ দিয়ে মনোর হাতে ও পায়ে আঘাত করেন। স্বজনরা উদ্ধার করে গ্রাম্য চিকিৎসকের নিয়ে যান। পরে রাতে ঘুমানোর পর সোমবার ভোর ৪টার দিকে মনোকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় শত শত গ্রামবাসী মনোর প্রতিবেশীর বাড়ি ঘেরাও করে শহিদুলের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে সোনাতলা থানা পুলিশ খবর ওই বাড়িতে যায়। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর দাবির মুখে পুলিশ শহিদুল, তার স্ত্রী ও মাকে আটক করে। এতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান, মৃত নারীর পায়ে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আটক তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতের পরিবার থেকে মামলা দিলে আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।