গাড়লের খামার গড়লো ভবিষ্যৎ

গাড়লের খামার করে সফল হয়েছেন নওগাঁর রাণীনগরের আব্দুল মান্নান। উপজেলার মালসন গ্রামে তিন একর জমিতে গড়া এই খামারই গড়ে দিয়েছে মান্নানের ভবিষ্যৎ। গাড়লের হাত ধরেই এখন নিজের জমিতে গড়ে তুলেছেন আমিন হাসান এগ্রো লিমিটেড ও মোল্লা মৎস্য খামার। তার অধীনে কাজ করছে এলাকার অনেক বেকার। সফল এ গাড়ল খামার দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উৎসাহীরা।

খামার ঘুরে দেখা গেলো, আব্দুল মান্নানের খামারে আছে ৬০টি উন্নতজাতের গাড়ল। প্রতিটি বিক্রি হবে ১০-২৫ হাজার টাকায়।

আব্দুল মান্নান বলেন, কয়েকবছর আগে নোবেলজয়ী ড. ইউনুস নওগাঁয় এসে একটি সেমিনারে কথা বলেছিলেন। তার কথা শুনে বেশ ভালো লাগে। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এরপরই খামার গড়ে তুলি।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় প্রাণীসম্পদ অফিসের লোকজন মাঝে মধ্যে এসে গরু-ছাগলের ভ্যাকসিনসহ চিকিৎসা দিয়ে যান। সরকারি সহযোগিতা পেলে খামারের পরিসর আরও বাড়াতে পারবো। তখন আরও অনেকের কর্মসংস্থান হবে।’

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামপর্যায়ে এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। আব্দুল মান্নানের খামারে উন্নতজাতের গরু, ছাগল, গাড়ল ও মাছসহ অনেক কিছু রয়েছে। তার এই খামার শিক্ষিত বেকার যুবকদের পরিদর্শন করা উচিত। এমন উদ্যোগ নিলে করোনার দুঃসময়েও বসে থাকতে হবে না। আমাদের পক্ষ থেকে মান্নানকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’