ফের আন্দোলনে ‘অবৈধ’ নিয়োগপ্রাপ্তদের একাংশ

পদায়নের দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে ‘অবৈধভাবে’ নিয়োগপ্রাপ্তদের একাংশ।

রবিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যান্ত রুটিন উপাচার্যের দফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে কৃষি প্রকল্পের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব সংক্রান্ত সভা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

বিষয়টি জানতে পেরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী উপাচার্যের দফতরের সামনে অবস্থান নেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করেন তারা। উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে মিটিংয়ের জন্য এক ঘণ্টা আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। দুপুর ২টার দিকে ফের আন্দোলনকারীরা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা দফতরে আসেন। প্রায় ঘণ্টা খানেক উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে ৩টার দিকে দফতর থেকে বের হয়ে যান তারা।

জানতে চাইলে নিয়োগপ্রাপ্ত রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আতিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমরা কর্মস্থলে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিন দিন আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে সরকারঘোষিত লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের কারণে নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলেও নিশ্চুপ ছিলাম। কিন্তু আজ আমরা জানতে পারলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছেন আজ। আমরা উপচার্যকে বলেছি, আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে এফসি, সিন্ডিকেটসহ কোনও গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করা যাবে না। উপাচার্য গুরুত্বপূর্ণ সভা করবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন। তাই আজকের জন্য আমাদের আন্দোলন স্থগিত করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক লিয়াকত আলী বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকে এফসি ও সিন্ডিকেট সভা না করার দাবি করে আসছেন। উপাচার্যও বলেছেন তিনি এসব সভা করবেন না। তারপরও আজ তারা অবস্থান নেন উপাচার্যের দফতরে। উপাচার্য বলেছেন, তিনি আগের অবস্থানে আছেন।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান শেষ কর্মদিবসে ১৩৮ জনকে অ্যাডহকে নিয়োগ দেন। ওই দিন বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে। একই দিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানে স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি। এরপর থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মস্থলে পদায়নের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।