ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যালে ভর্তি

ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হিলারী স্বপন কর্মকার (২৩) নামে এক শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (০২ আগস্ট) তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। হিলারী স্বপন রাজশাহীর ডিঙ্গাডোবা বাগানপাড়া এলাকার মনিরানা কর্মকারের ছেলে।

মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) রাতে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্বপন কর্মকার ঢাকার নর্দান ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী। ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীতে এসেছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে স্বপনকে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিচ্ছেন। বুধবার (০৪ আগস্ট) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অংশকে ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা হবে। সেখানে তাকে স্থানান্তরিত করবো। নতুন রোগী ভর্তি হলে সেখানেই রাখা হবে।

সাইফুল ফেরদৌস বলেন, এখন পর্যন্ত যথেষ্ট কিট মজুত আছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকরাও প্রস্তুত আছেন। আশা করছি, করোনার প্রকোপের সময় ডেঙ্গুকেও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

হিলারী স্বপন কর্মকার বলেন, ঢাকায় চার দিন জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম। সেখানে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তখন প্লাটিলেট কম ছিল। রাজশাহীতে পরীক্ষা করে সবকিছু স্বাভাবিক এসেছে। এখন জ্বর নেই। হাত-পায়ের ব্যথাও নেই। সোমবার বাড়ি এসে হাসপাতালে চিকিৎসক দেখালে কয়েকটি পরীক্ষা করতে দেন। এরপর ভর্তি হতে বলেন। এখন সুস্থ ও ভালো আছি।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান বাদশা বলেন, এর আগেও রাজশাহীতে ডেঙ্গু রোগীদের আমরা সেবা দিয়েছি। রাজশাহী পরিচ্ছন্ন নগরী হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ তেমন নেই। তবে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গু রোধে ভূমিকা রাখতে হবে।  

এদিকে, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও এডিস মশার প্রজনন রোধে রাজশাহী সিটি করপোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উদ্যোগগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নে রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের এক সমন্বয় সভাও হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নগর ভবনের সরিৎদত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে সভা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৫ মাস ধরে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। করোনার পাশাপাশি এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া রোগ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সরকার এ বিষয়ে সচেতন করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটি প্রতিরোধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাইকে নিয়ে রাজশাহীকে সুরক্ষিত রাখতে চাই।