ফ্রুট ব্যাগিংয়ে উৎপাদিত আম্রপালি ১০ হাজার টাকা মণ

নওগাঁর সাপাহারে রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম সংরক্ষণ করে অধিক মুনাফা পেয়েছেন আম চাষিরা। ইতোমধ্যে এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ১০ মেট্রিক টন ফ্রুট ব্যাগিং করা আম ইংল্যান্ড ও ইউরোপে রফতানি করা হয়েছে। 

আম চাষিরা বলছেন, ফ্রুট ব্যাগিং করার ফলে আম পোকামাকড় থেকে রক্ষা পায়। এতে আম থাকে বিষমুক্ত। শুধু গাছে সামান্য কীটনাশক স্প্রে করলেই হয়।

তারা আরও জানান, বর্তমানে আম্রপালি আম ১০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর সেপ্টেম্বর মাসে গৌরমতি আম উঠবে, তখন সেটি ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা। 

বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের মালিক সোহেল রানা জানান, কীটনাশক, পোকামাকড় ও বিরূপ আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আম রক্ষায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি খুবই কার্যকর। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, চলতি বছরে এই উপজেলায় ৮ থেকে ১০ লাখ ফ্রুট ব্যাগ করা হয়েছে। ফ্রুট ব্যাগ মূলত মাছি পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে সাশ্রয়ে এবং নিরাপদভাবে ফল উৎপাদন করা সম্ভব। আর এভাবে আম উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরের দেশেও পরিচিতি পাবে বাংলাদেশের আম।