প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরকে মারপিটের অভিযোগ


নাটোরে পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নান্নু শেখকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে পাল্টা নান্নু শেখের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত প্যানেল মেয়র মাসুম।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে শহরের মাদ্রাসামোড় এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে নান্নু শেখ দাবি করেন, আরিফুর রহমান মাসুম দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে পৌর তহবিল হতে মাসে এক লাখ টাকা নেয়। এছাড়া তার ৭-৮ জন অনুসারী কোনও কাজ না করেও মাস্টাররোল কর্মী হিসেবে মজুরি নিচ্ছেন। গত মাসিক মিটিংয়ে এগুলোর প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার দুপুরে পৌরচত্বরে প্রকাশ্যে তাকে মারপিট ও হুমকি দেয় মাসুম ও তার অনুসারীরা। 

এরআগেও অবৈধ সুবিধা না দেওয়ায় গোলাম মোস্তফা ও ঠিকাদার আশফাকুলের ম্যানেজারকে মাসুম মারপিট করেছেন দাবি করে অনতিবিলম্বে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নান্নু শেখ। এ জন্য নিতে স্থানীয় সরকার, পুলিশ-প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে আহবান জানান তিনি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন, কোহিনুর বেগম পান্না ও আরজু শেখ উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মাসুম জানান, এমন অভিযোগ ও দাবির কোনও ভিত্তি নেই। বরং একটি বিধবা নারীর জমি সংক্রান্ত সালিশকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে নান্নু শেখ পৌরচত্বরে তার নির্ধারিত চেম্বারে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করায় তার লোককেই মারপিট করে নান্নু শেখ।
 
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি পৌরসভা থেকে কোনও চাঁদা নেই কি-না তা মেয়রই বলতে পারবেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি মাসুমের চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি নলডাঙ্গা উপজেলা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম। পরে শুনেছি সালিশের বিষয় নিয়ে দুই কাউন্সিলরের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। তবে প্রকৃত কী ঘটনা ঘটেছিল, তা আমি জানি না, ওই দুই জনের কেউ আমাকে বিষয়টি জানাননি বলে জানান মেয়র।