কয়েলের আগুনে নিঃস্ব কৃষক পরিবার

এক ছেলে এক মেয়ের বাবা কৃষক আফিত উদ্দীন। জমি-জমা নেই। মানুষের জমিতে দিনমজুরির পাশাপাশি সংসারের সচ্ছলতা আনতে লালনপালন করেন গাভি। বছর পার না হতেই গাভির গর্ভে আসে বাছুর। বাছুর বিক্রি করে চলে তার সংসার। পাশাপাশি দুধ বিক্রির টাকায় গরুর খাবারের ব্যবস্থা হয়। ভালো চলছিল সংসার। কিন্তু হঠাৎ গোয়ালঘরে আগুন লেগে নিঃস্ব হয়ে যায় আফিতের পরিবার। 

রবিবার দিবাগত রাতে নাটোর সদর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আফিত উদ্দীন ভাতুরিয়া গ্রামের খয়ের উদ্দীনের ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নাদিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে রয়েছেন আফিত উদ্দীন ও তার স্ত্রী। কয়েল থেকে গোয়ালঘরে ধরেছিল আগুন। এতে দগ্ধ হয়ে মারা যায় একটি গাভি। দগ্ধ হয়েছে আরও একটি গরু। তবে পালিয়ে বেঁচে যায় বাছুরটি।

আফিত উদ্দীনের ছেলে শাওন জানান, বাবা ঋণ করে একটি গরু ও একটি গাভি কিনেছেন। গাভির একটি বাছুর হয়। বর্তমানে গাভিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সম্প্রতি আমার ছোট বোনের গলায় টিউমার দেখা দেয়। চিকিৎসার জন্য বাবা-মা রাজশাহী গেলে বাড়িতে আমি ও আমার স্ত্রী ছিলাম। রাতে গোয়ালঘরে কয়েল দিয়ে ঘুমাতে যাই। রাত ৩টার দিকে বাইরে এসে গোয়ালঘরে আগুন দেখে চিৎকার করি। 

তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের নিয়ে অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গাভিটি দগ্ধ হয়ে মারা যায়। পাশাপাশি গরুটি দগ্ধ হয়। তবে বেঁধে না রাখায় গোয়ালঘর থেকে পালিয়ে বেঁচে যায় বাছুরটি। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের।