সুদ না পেয়ে কান কেটে দিলো দাদন ব্যবসায়ী! 

বগুড়ার শাজাহানপুরে সুদের টাকা দিতে না পারায় এনামুল হক (৪৬) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে মারপিটের পর কান কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এনামুলের স্ত্রী নাজমা বেগম পাঁচ দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

অভিযুক্তরা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর তালতলা এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে মজনু মিয়া (৪৫), শ্মশানকান্দির বাবু মিয়ার ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৬), রামচন্দ্রপুর এলাকার ওয়াজেদ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও মো. শাফি (৩০) এবং মৃত আফছার আলীর ছেলে আজিজার রহমান (৩০)।

নাজমা বেগম বলেন, আমার স্বামী এনামুল হক অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালান। আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিন মাস আগে প্রতিবেশী দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার (৪৫) থেকে কানের সোনার দুল বন্ধক রেখে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। ২০ হাজার টাকা ঋণের জন্য প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা সুদ দিতে হতো। অসুস্থতার কারণে ২-৩ সপ্তাহ সুদের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এতে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়া ক্ষুব্ধ হন। তিনি ও তার লোকজন মঙ্গলবার দুপুরে লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর আমার স্বামীকে মারপিট করেন। স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আমাকেও মারপিট করা হয়। পরে ইটের আঘাতে আমার স্বামীর বাম কান কেটে ফেলে তারা।

নাজমা বেগম আরও বলেন, শাজাহানপুরে থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি। কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

অভিযুক্ত মজনুর ফোন বন্ধ ও এলাকায় না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।