‘চুল কাটা ছাত্রদের চিনি না’ বলায় ফের উত্তপ্ত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তিনটি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এসব পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। 

এরপর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে যাদের চুল কেটে দেওয়া হয়েছে তাদেরকে ‌‘চেনেন না’ বলায় বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে রাতে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের কুশপুতুল পোড়ান শিক্ষার্থীরা। 

তিন পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়া শিক্ষিকা 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল জানান, মঙ্গলবার রাতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন। শিক্ষার্থীরা এতে শান্ত হয়ে যায়। কিন্তু রাতে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেন, ‘আমি যাদের চুল কেটে দিয়েছি তাদেরকে চিনি না। তারা আমার শিক্ষার্থী কি-না তাও বলতে পারবো না।’ এমন বক্তব্যের পর আবারও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসে বুধবার সকাল থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ বলেন, গতকাল রাতে দায়িত্বে থাকা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ফারহানা ইয়াসমিন পদত্যাগ করলেও শিক্ষার্থীরা শিক্ষক পদ থেকে পদত্যাগ চাচ্ছে। তদন্তের পর অভিযোগ প্রমাণ হলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রাতে ফারহানা ইয়াসমিনের কুশপুত্তলিকা পোড়ান শিক্ষার্থীরা

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেওয়ার বিষয়টি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী লজ্জায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও জানা যায়।

আরও পড়ুন-
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ