চুল কেটে দেওয়া শিক্ষিকার বহিষ্কার দাবিতে অনশনে অসুস্থ ৪

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ীভাবে শিক্ষক পদ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে চার জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাতেনকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত না করা পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল জানান, চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি দ্রুত সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করছে।

অনশনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব জানান, আমরা এই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন করছি। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।

স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত না করা পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

তিনি আরও জানান, অনশনরত চার শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাদের মধ্যে দুই জনকে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের এখানেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত আব্দুল লতিফ বলেন, ইতোমধ্যে দায়িত্বে থাকা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ওই শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারপরও শিক্ষার্থীরা শিক্ষক পদ থেকেও পদত্যাগ চাচ্ছে। তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজ আবার শিক্ষকদের নিয়ে তাদের ক্লাসে ফেরার জন্য বোঝানো হবে।

যেহেতু তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে, তাই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন-
‘চুল কাটা ছাত্রদের চিনি না’ বলায় ফের উত্তপ্ত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়