নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড়বো না: ইসি রফিকুল

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশকে বিনষ্টের চেষ্টা করলে, সে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দরকার হলে এমপিদের ক্ষেত্রেও নমনীয় হবে না নির্বাচন কমিশন। আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকলে কোনও প্রকার অঘটন ঘটবে না। ভোট হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ।

সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকালে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ইউপি নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে। কাউকে মারার কিংবা কারও পক্ষ নেওয়ার জন্য নয়। যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য তাদের মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কেউ লুট করতে এলে পুলিশ বসে থাকবে না, পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, নাগরিকের ভোট, ভোটের সরঞ্জাম রক্ষা ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার জন্য বিধান রয়েছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকার সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, কারও দ্বীর্ঘশ্বাস নিয়ে নির্বাচিত হবেন না। নিজেদের গায়ে দ্বীর্ঘশ্বাস লাগতে দিয়েন না। আমরা কিন্তু কাউকে ছাড়বো না। ভোট সংশ্লিষ্টরা কোনও স্বজনপ্রীতি ও স্বজনের আপ্যায়ন ও পক্ষপাতপুষ্ট হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাতে অবাধে যেতে পারেন, তার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রিসাইডিং অফিসারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখবো আমরা। কিন্তু ভেতরের অবস্থা দেখবেন আপনারা। সবাই একসঙ্গে নিরপেক্ষ কাজ করলে ২৮ তারিখের নির্বাচন হবে সুষ্ঠু।

অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল জলিল বলেন, ভোটগ্রহণ শেষে দ্রুত সময়ে গণনা করে কেন্দ্রে ঘোষণা দিয়ে উপজেলায় রিপোর্ট করবেন। 

মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. জয়নুল আবেদীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সানওয়ার হোসেন ও সদর থানার ওসি মো. তৌহিদুল ইসলাম।