৪ পুলিশের বিরুদ্ধে রাজশাহীর আদালতে মামলা

রাজশাহীতে চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাজশাহী জেলার সিনিয়র স্পেশাল ও দায়রা জজ আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন রাজশাহী বারের আইনজীবী মো. সাদেক মিয়া। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে- জেলার বানেশ্বর পুলিশ বক্সের ট্রাফিক কর্মকর্তা অভিজিৎ সরকার (৪০), এএসআই সাইফুল ইসলাম (৩৮), দুর্গাপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল হেলাল উদ্দিন (৫০) ও খোরশেদ আলমকে (৩৯)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টায় মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মো. সাদেক মিয়া তার চাচাতো ভাই মেহেদী হাসানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে কাজে বের হন। তারা দুর্গাপুর থানার মোড়ের ইসলামী ব্যাংকের সামনে এলে ট্রাফিক পুলিশ গতিরোধ করেন। ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় মামলার বাদী তার মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজ দেখালেও আসামিরা বাদীর কাছে দুই হাজার টাকা দাবি করেন। বাদী নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিলে বাদী এবং পুলিশ সদস্যের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাদী ও আসামিদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আসামিরা বাদী ও তার ভাইকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়।

এজাহার অনুযায়ী আরও জানা যায়, বাদীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। বাদী তার মোবাইল ফোনে দুর্গাপুর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে আসামিরা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হলে সাধারণ লোকজন থানা ঘেরাও করে। ফলে পুলিশ বাদীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

অ্যাডভোকেট মো. সাদেক মিয়া বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হয়েও একজন আইনজীবীর সঙ্গে এমন আচরণ করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি আমার পরিচয় দেওয়ার পর আসামিরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। গত ২২ নভেম্বর আমি থানায় মামলা করতে গেলে দুর্গাপুর থানার ওসি তা গ্রহণ করেননি।’

ঘটনার বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি হাসমত আলী বলেন, ‘বিষয়টি ঘটনার দিনই সমাধান হয়ে গেছে। পুলিশ বা আইনজীবী কোনও পক্ষের অভিযোগ ছিল না। ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ওই আইনজীবী আমার কাছে আসেননি। কী কারণে তিনি আদালতে মামলা করলেন তা বোধগম্য নয়।’