নওগাঁ থেকে চুরি হওয়া ২৪২ বস্তা চাল পাবনায় উদ্ধার

নওগাঁর থেকে ফেনীতে নেওয়ার সময় লাপাত্তা হওয়া পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের ২৪২ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে মহাদেবপু থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটকও করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও আটঘরিয়া উপজেলার কুমারেশ্বর গ্রামের ছইমুদ্দিন প্রামানিকের ছেলে শাহাজান আলী প্রামানিক (৫০)।

রবিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মহাদেবপুর থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গত ১ ডিসেম্বর দুপুরে মহাদেবপুর উপজেলার আখেড়া এলাকার ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গোডাউন থেকে আদিব ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক আবু নাসিম মশিউর রহমান বকুল একটি কাভার্ডভ্যানে ২৮০ বস্তা পাইজাম চাল ফেনী জেলার ইসলামপুর রোডের মেসার্স এবি সিদ্দিকী ট্রেডার্সের নামে পাঠান। কিন্তু সে চাল আর ফেনিতে পৌঁছেনি। ঘটনার পর থেকে ওই কাভার্ডভ্যানের চালক ও মালিকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এর দুদিন পর পাবনার এক চাল ব্যবসায়ী মোবাইল ফোনে বকুলকে জানান যে, তার প্রতিষ্ঠানের নাম ও মোবাইল নম্বর খোদাই করা বস্তায় ভরা চাল তিনি কিনেছেন। তিনি আরও চাল কিনতে চান। বকুল এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বাহাদুরপুর বাজার থেকে লাপাত্তা হওয়া চালের মধ্যে ২৪২ বস্তা উদ্ধার করে ও দুজনকে আটক করে মহাদেবপুর নিয়ে আসেন।’

মামলার বাদী বকুল জানান, তিনি নওগাঁ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের মহাদেবপুর শাখার মাধ্যমে কাভার্ডভ্যানটি (খুলনা মেট্রো ট ১১-১০৯০) ভাড়া নেন। এর চালক ছিলেন ঢাকার সাভার এলাকার মৃত আনসার আলী শেখের ছেলে মো. ছালাম হোসেন। পরে জানা যায়, এর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুয়া। চালকের ঠিকানাও সঠিক নয়।