টিকটক ভিডিও বানাতে প্রাণ গেলো মেয়রপুত্রের

মোটরসাইকেল চালিয়ে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার মেয়রের ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাত জন।

মঙ্গলবার বিকালে জেলার পাঁচবিবি-হিলি সড়কের দরগাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইবনে সাজ্জাদ হৃদয় (২১) জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কালাই পৌরসভার মেয়র রাবেয়া বেগম ও প্রয়াত সাজ্জাদুর রহমান কাজলের ছেলে।  হৃদয় কালাই ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

আহতরা হলেন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার নুর মোহাম্মদের ছেলে আল আমিন (৪০), একই উপজেলার সবুজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (৪০), জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আল আমিন (৩০), একই উপজেলার মৃত বনু মিয়ার ছেলে নাজমুল (৩০), ছাদেকুল ইসলামের ছেলে মো. রনি (২০), মোজাফফর হোসেনের ছেলে মো. ছাব্বির (৩০), হারুঞ্জা গ্রামের বুলবুলের ছেলে নাজমুল (২২)। এর মধ্যে গুরুতর আহত তিন জনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে পাঁচবিবি-হিলি সড়কের দরগাপাড়া এলাকায় দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে টিকটক বানানোর জন্য ভিডিও ধারণ করছিলেন হৃদয় ও তার কয়েকজন বন্ধু। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দুই মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই হৃদয় নিহত হন। সেই সঙ্গে হৃদয়ের তিন বন্ধু এবং অপর দুই মোটরসাইকেলের চার আরোহী আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা ও খবর পেয়ে পাঁচবিবি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিক আহমেদ জেবাল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চার জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহত তিন জন আলামিন, রনি ও সাব্বিরকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন নিহত ও সাত জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।