এক বিটকয়েন ৩৫ লাখ টাকা, আটক ২

নওগাঁয় অবৈধ বিটকয়েন ক্রয়-বিক্রয় চক্রের মূল হোতাসহ দুই জনকে আটকের দাবি করেছে ডিবি পুলিশ এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। শনিবার (২২ জানুয়ারি) শহরের গোস্তহাটির মোড় ও আত্রাই উপজেলার চৌড়বাড়ী গ্ৰামে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, আত্রাই উপজেলার চৌড়বাড়ী গ্রামের আব্দুস শুকুর ছেলে সারোয়ার হোসেন ডলার (৩০) এবং একই গ্রামের সামসুল আলম খন্দকার এর ছেলে রাকিবুল ইসলাম খন্দকার রকি (২৫)।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ডিবি পুলিশ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাকিবুল ইসলাম খন্দকার রকি এবং সারোয়ার হোসেন ডলারের দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বিটকয়েন ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা পায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনএসআই এবং ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে আত্রাই উপজেলার চৌড়বাড়ী গ্রাম থেকে রকিকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিটকয়েন চক্রের সমন্বয়কারী ডলারকে নওগাঁ শহরের গোস্তহাটির মোড় থেকে আটক করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সর্বশেষ বিটকয়েন বিক্রির এক লাখ ৮২ হাজার ইউএস ডলার যার মূল্যমান প্রায় এক কোটি ৫৬ লাখ টাকা লেনদেনের জন্য সারোয়ার হোসেন ডলার ব্যাংক এশিয়ার মাস্টার কার্ড (নম্বর- ৫৪১১৭৩০১০০৩১২৮৬১) ব্যবহার করেন। বিটকয়েন বিক্রয় হলে অ্যাকাউন্টে অনেক টাকা জমা হবে লোভ দেখিয়ে তারা অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া একটি বিটকয়েনের জন্য তারা ৩৫ লাখ টাকা নিতো। এই বিটকয়েন ক্রয়ের জন্য তাদের টাকার প্রয়োজন বলে লোকজনদের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেয়। এতে ভুক্তভোগীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে বিটকয়েন ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।

অভিযানে রাকিবুল ইসলামের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, দুইটি সিমকার্ড, ইসলামী ব্যাংক বরিশাল শাখার একটি চেক বই, একটি ডায়েরি; যেখানে বিটকয়েন সম্পর্কিত নানা তথ্যাদি রয়েছে। পাশাপাশি সারোয়ার হোসেনের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি সিমকার্ড, ব্যাংক এশিয়ার একটি মাস্টারকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আগামীতে এনএসআই ও ডিবি পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আত্রাই থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।