এক জেলাতেই একদিনে সড়কে প্রাণ গেলো ৯ জনের

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ও সদর উপজেলার তকিয়া এলাকায় পৃথক সড়ক দুই জন নিহত হয়েছে। নিহতদের একজন ব্যাংকার, অপরজন ধানকাটা শ্রমিক। শনিবার (৭ মে) পৃথক দুর্ঘটনা দুইটি ঘটে। এই নিয়ে এক দিনে এই জেলায় সড়কে মোট ৯ জনের প্রাণ গেছে।

নিহতের একজন হলেন রাজশাহীর মহনপুর এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদ। তিনি ব্র্যাক ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। অপরজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকার আহসান আলীর ছেলে আল আমিন। তিনি ধানকাটা শ্রমিক ছিলেন।

বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আকরামুল হাসান তুষার জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে কালিকাপুর এলাকার রাস্তা থেকে তারা ওই ব্যাংকারের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

অপরদিকে পবা হাইওয়ে থানার ওসি মোফাক্কারুল জানান, ২৫ জন শ্রমিক সিংড়ার চৌগ্রাম এলাকায় ধানকাটা শেষে ট্রাকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তাকিয়া এলাকায় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে যায়। ওই ট্রাকের ধানের বস্তা সরিয়ে রাত ৭টার দিকে আল আমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল রাজশাহীগামী ন্যাশনাল পরিবহন ও ঢাকাগামী সিয়াম পরিবহনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাত জন নিহত হন।

নিহতরা হলেন– নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া এলাকার রুহুল আমিনের স্ত্রী মোহনা আক্তার (৩০), সদর উপজেলার বড়হরিশপুর ইউনিয়নের পাইকোরদৌল এলাকার আলমগীর হোসেন (৪৮), একই এলাকার শাজাহান আলীর ছেলে কাওসার আলী (১৭) ও মেয়ে সাদিয়া পারভিন (১৬), টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার এলাকার ভানু প্রামাণিকের ছেলে জলিল (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের মশিউর রহমান (২৫) এবং মাগুরা সদর উপজেলার মিজানুর রহমান।