চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সোর্সকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়া শহরের একটি বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে জেলার সদর থানার এসআই মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকালে শহরের নাটাইপাড়ায় একটি বাড়িতে গেলে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

এই ঘটনায় জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, মোবাইল ফোনে অনলাইনে জুয়া খেলার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই কর্মকর্তা। চাঁদাবাজির অভিযোগ আসায় এসআই মাসুদ রানাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত ও সোর্স ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, বগুড়া সদর থানার এসআই মাসুদ রানা তার সোর্স ইকবাল হোসেনকে নিয়ে শুক্রবার বিকালে শহরের নাটাইপাড়া নাপিতপাড়ায় তরুণ কুমার শীলের বাড়িতে যান। তারা পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তরুণ কুমারের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এ সময় ওই বাড়িতে কয়েকজন মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়া খেলছিলেন। সোর্স বর্তমানে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় ভাড়া বাড়িতে বসবাসকারী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পোরজান এলাকার আফসার আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। 
বাড়ির লোকজন চাঁদা দাবির বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে শুরু করেন। তখন এসআই মাসুদ রানা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর করেন। নারীদেরও মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এতে প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করেন। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে জনগণ শান্ত হন। তখন এসআই মাসুদ রানা ও সোর্স ইকবাল হোসেনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়।

সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই মাসুদ রানাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার সোর্স ইকবাল হোসেনকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলিশ সুপার এ ঘটনা তদন্ত করতে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন।