সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক ফাঁকা, দুর্ভোগে যাত্রীরা

জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পরিবহন মালিক ও যাত্রীরা। তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কগুলোতে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পৌর বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই-একটি ছাড়া দূরপাল্লার কোনও বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।

বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ২২ জেলার প্রায় হাজারও যানবাহন চলাচল করে। তবে শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত এই মহাসড়কটি ফাঁকা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে জেলার গুরুত্বপূর্ণ হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় দেখা যায় একই চিত্র, বিভিন্ন মোড়ে যানবাহনের অপেক্ষায় যাত্রীরা।

হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় যানবহনের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকা যাত্রীরা বলেন, সকাল থেকেই বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। দুই-একটি বাস আসলেও সিট নেই এবং ভাড়া অনেক বেশি, সেজন্য উঠতে পারেননি। তবে অনেকেই ভাড়া বেশি দিয়েই কর্মস্থলে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন মোড়ে যানবাহনের অপেক্ষায় যাত্রীরা

এসআই এন্টারপ্রাইজের চালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‌‘হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমরা গাড়ি নিয়ে বের হইনি। সরকার তেলে দাম বাড়িয়েছে কিন্তু আমাদের বাস ভাড়া বাড়ায়নি। যাত্রীরাও দুভোগে পড়েছে। যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে আমাদের ছেলে-মেয়ে নিয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হবে।’

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান বলেন, ‘তেলের দাম বৃদ্ধি ও বৃষ্টির কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যানবহনের চাপ একটু কম।’ 

মহাসড়ক ফাঁকা নেই দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘দূরপাল্লার কিছু গাড়ি বন্ধ রয়েছে। তবে এই মহাসড়কে এখনও প্রচুর গাড়ি চলাচল করছে।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে।