ধর্ষণ মামলার পর উপজেলা ছাত্রলীগের সা. সম্পাদককে বহিষ্কার

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন চন্দ্র ঘোষের (২৮) বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ভিকটিম নিজে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে সোনাতলা থানায় এ মামলা করেন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে সুজনকে বহিষ্কার ও মেয়াদোত্তীর্ণ সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এদিকে আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের নামাজখালী গ্রামের সুভাষ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সুজন চন্দ্র ঘোষ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে এলাকার এক গৃহবধূকে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করে। ঘটনা স্বামীকে জানাতে চাইলে সুজন ওই নারী ও শিশু সন্তানকে হত্যার হুমকি দেয়। এরপর প্রায়ই সুজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই রাতেও ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। 

ভিকটিম আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ নেতা সুজন ক্ষমতার দাপটে তার মতো অনেক নারীকে ধর্ষণ করেছে। 

এদিকে ঘটনার পর থেকে সুজন ও তার স্বজনরা বাড়ি থেকে সটকে পড়েছেন। অন্যদিকে বুধবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। 

সোনাতলা থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, একমাত্র আসামি সুজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অন্যদিকে দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী কাজের জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সুজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। 

এছাড়া সুজনের বিচার দাবিতে বিকালে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।