যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

পাবনায় গৃহবধূ নাছিমা খাতুনকে হত্যার দায়ে তার স্বামী সিফাত আলীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলা থেকে তিন জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১৪ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টায় পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সিফাত চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়ি স্কুলপাড়ার মো. রব্বেলের ছেলে। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে কারাগারে পাঠানো হয়। নাছিমা খাতুন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ভিটাকাজিপুর গ্রামের আরদেশ প্রামানিকের মেয়ে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, যৌতুকের দাবিতে ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পরিবারের লোকজন মিলে মারদর ও গলাটিপে নাসিমাকে হত্যা করে পালিয়ে যান সিফাত। পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় পাঁচ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। পরের বছরের ১৫ জানুয়ারি তাদেরকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলা চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হয়।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও ৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ও পরিবারের লোকজন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইতি হোসেন মুক্তি বলেন, ‌‌‌‘আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। সেখানে আসামি সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে খালাস পাবেন বলে আশা করছি।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, ‘এটি একটি যুগান্তরকারী রায়। এর মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি, খুব দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।’