ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৫০ বার কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানার উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকে ওই যুবককে এই শাস্তি দেওয়া হয়।

তবে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের দাবি, শত্রুতার জেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সালিশি বৈঠকে জোর করে তাকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছে। ওই দিন তার মা মারা গেছে। গোরস্থান থেকে বাসায় এসে শোকাবহ ছিলেন। হঠাৎ স্থানীয় ইউপি সদস্য উকিল মিয়াসহ কয়েকজন লোক এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার একটি গরু জোর করে নিয়ে যায়।

সালিশি বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন জানান, ২৫ আগস্ট উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মুনতাজ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা করে এমন অভিযোগেই এই শাস্তি ঘোষণা করে ইউপি চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে মাটিকাটা ইউপি সদস্য উকিল মিয়া দাবি করেন জানান, সালিশ দুদিন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন শুক্রবার তিনি উপস্থিত ছিলেন। শনিবার আবার শালিস বসানো হয়। সেখানে তিনি ছিলেন না। এই ছেলে ভালো না। এর আগেও তাকে সাবধান করা হয়েছে। ওই দিন রাত ১০টার দিকে তার মায়ের জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয়। ওই রাত আড়াইটার দিকে সে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা করে।

এ বিষয়ে মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা দাবি করেন, আমার সভাপতিত্বে সালিশি বৈঠক হলেও স্থানীয় লোকজন সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে।

এই বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানা নেই। তবে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করার এখতিয়ার সালিশি বৈঠকের নেই। থানাও এটার বিচার করতে পারে না। বিচার করা আদালতের কাজ।