‘প্রেমিককে’ বেঁধে রেখে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

বিয়ে করার জন্য প্রেমিকের (১৯) হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে নাটোরে আসে রাজশাহীর এক কিশোরী (১৬)। এরপর সেখানে একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। স্থানীয় কয়েকজন যুবক বিষয়টি জানতে পেরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে বাসায় ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে তরুণকে বেঁধে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে ওই ভুক্তভোগীরা বিষয়টি নাটোর সদর থানার পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলো-সোহান আলী (২৮), রকি হোসেন (২২) ও রনি আহম্মেদ (২৮)। তারা নাটোর শহরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়িওয়ালা ও তার স্ত্রীকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণ ও কিশোরীর বাড়ি রাজশাহী শহরে। ‘বিয়ে করার জন্য এসেছেন জানিয়ে’ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর শহরে একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। বিষয়টি এলাকার কয়েক যুবক জানতে পেরে রাত ১১টার দিকে ওই বাড়িতে আসে। তরুণকে একটি কক্ষে বেঁধে রাখে এবং কিশোরীকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। এরপর ওই ভিডিও দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এক পর্যায়ে নিজেদের কাছে থাকা টাকা দিয়ে উদ্ধার হন ভুক্তভোগীরা।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জাননা, ভুক্তভোগী কিশোরী ও তরুণ রাতে থানায় এসে ঘটনাটি জানান। সারারাত অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার মদনহাট গ্রাম থেকে তিন যুবককে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।