নদী থেকে বালু তোলায় হুমকিতে সেতু

দুই মাস ধরে বগুড়ার সারিয়াকান্দির বাঙালি নদীর জোড়গাছা সেতুর কাছ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে হুমকিতে পড়েছে সেতুটি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ চেয়েছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, সারিয়াকান্দি উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নে বগুড়া-কড়িতলা সড়কের জোড়গাছায় বাঙালি নদীর ওপর জোড়গাছা সেতু নির্মিত। সেতু দিয়ে বগুড়া জেলা সদর, সারিয়াকান্দি ও গাবতলীসহ আশপাশের উপজেলার যানবাহন চলাচল করে। সেতুর প্রায় ২০০ মিটার উত্তরে তিনটি ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। প্রতি ট্রাক বালু আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। বালু বেচে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও সেতুর চারপাশের এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সারাদিন বিভিন্ন যানবাহনে বালু পরিবহন করায় গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জোড়গাছা গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন, সরাফত হোসেন ও মোবারক আলী জানান, গত কিছুদিন ধরে সেতুর পাশে ড্রেজার বসিয়ে গভীর তলদেশ থেকে বালু তুলছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। এতে সেতুর আশপাশে তাদের জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে সেতুটি।

প্রতি ট্রাক বালু আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়

অভিযোগ প্রসঙ্গে বালু উত্তোলনকারী আলমগীর মন্ডল জানান, তিনি সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন করেন না। অন্যত্র থেকে কেনা বালু সেখানে স্তূপ করে রেখেছেন। 

আলমগীর মন্ডল বলেন, ‌‘স্থানীয় বিএনপি নেতা সোনা মিয়া সুজন বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। আমি বালু উত্তোলন করি না।’

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি সোনা মিয়া সুজন। এজন্য তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শিপন বলেন, ‘জোড়গাছা সেতুর কাছে ড্রেজিং করে কারা বালু তুলছেন এবং বিক্রি করছেন তাদের আমি চিনি না। অবৈধভাবে বালু তোলায় সেতুর আশপাশে নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেতুটি হুমকির মুখে পড়ায় বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাচ্ছি।’

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু তোলার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ড্রেজারগুলো জব্দ করা হবে। একইসঙ্গে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’