নাটোরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরও একজনের মৃত্যু

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত রুহুল আমিন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হলো। এ ঘটনায় আহত আরও তিন জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এবং রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

রুহুল আমিন সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল দাশোপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। তিনি কুদ্দুস-ফরিদ গ্রুপের অনুসারী ছিলেন।

আরও পড়ুন: নাটোরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আ.লীগ নেতা নিহত

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আফতাব গ্রুপের সঙ্গে কুদ্দুস-ফরিদ গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাত ৮টার দিকে আফতাবের নেতৃত্বে বামিহাল এলাকায় কুদ্দুস গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কুদ্দুস গ্রুপের তিন জন আহত হন। কিছুক্ষণ পর  কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বামিহাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আফতাব গ্রুপের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় তারা আফতাব ও কালামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আফতাবকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চার জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ ভোরে রুহুল আমিন মারা গেছেন।

এছাড়া আহত তিন জন হলেন–আফতাবের ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম এবং প্রতিপক্ষ কুদ্দুস-ফরিদ গ্রুপের অনুসারী মাসুদ ও মুসা। তারা রাজশাহী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সংঘর্ষে প্রথম নিহত আফতাব উদ্দিন সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রতিপক্ষ কুদ্দুস সুকাশ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং দুই বারের বিএনপি সমর্থিত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার ভাই ফরিদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।