কৃষক হত্যার ১৫ বছর পর একজনের যাবজ্জীবন

বগুড়ার সোনাতলায় কৃষক আবু তাহের বাবলু হত্যা মামলায় আতাউল হক সরকার আতাকে (৬২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তিন জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

হত্যার দীর্ঘ ১৫ বছর পর সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মন্ডল এই রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী সাব্বির আহমেদ বিদ্যুৎ এ তথ্য দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আতাউল হক আতা সরকার বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার উত্তর দীঘলকান্দি গ্রামের মৃত মন্তেজার রহমানের ছেলে। অভিযোগ থেকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বেলাল সরকার, জুয়েল সরকার ও আলমগীর হোসেন।

সূত্রটি আরও জানায়, সোনাতলা উপজেলার উত্তর দীঘলকান্দি গ্রামের আবু তাহের বাবলুর সঙ্গে একই এলাকার আত্মীয় আতাউল হক সরকার আতার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বাবলু ২০০৭ সালের ৯ অক্টোবর বেলা ১টার দিকে জমিতে কাজ শেষে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আতা ও অন্যরা তার ওপর হামলা করেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় বাবলুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার সময় তাকে বাঁচাতে গেলে মারধরে তার স্ত্রী ও ছেলে আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা যান তিনি। পরদিন নিহতের শ্যালক পাঠানপাড়া গ্রামের সেলিম আকন্দ সোনাতলা থানায় চার জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই আবদুস সালাম ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আতাকে প্রধান অভিযুক্ত করে চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন।

সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মন্ডল সোমবার আতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তিন জনকে খালাস দেওয়া হয়।