লালপুরে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, বাইরে মিললো বোমাসদৃশ বস্তু

নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর এলাকায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় কার্যালয় থেকে কিছুটা দূরে ব্যাগের মধ্যে দুটি বোতল ও টেপ দিয়ে মোড়ানো কয়েকটি জর্দার কৌটা পাওয়া গেছে। এগুলো বিস্ফোরক দ্রব্য বলে ধারণা করছে পুলিশ। শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় বস্তুগুলো পাওয়া যায়।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের এএসপি শরীফ আল রাজীব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এএসপি শরীফ আল রাজীব জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর ভাঙচুর করা হয়েছে দেখতে পান। এরপর কার্যালয়ের কিছু দূরে বিস্ফোরক সদৃশ বোতল ও কৌটা নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরীক্ষার পরই সেগুলো কী জানা যাবে। আপাতত বিএনপির ওই কার্যালয় বন্ধ রাখঅ হয়েছে।

উদ্ধার দুটি বোতল ও টেপ দিয়ে মোড়ানো কয়েকটি জর্দার কৌটা

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী কার্যালয়ের ভেতরে এবং কয়েকজন বাইরে ছিলেন। কয়েকজনের মুখে মাস্ক পরা ছিল। তাদের সামনে দিয়ে কয়েকজন যুবলীগ কর্মী যাওয়ার সময় তাদের গালাগালি করেন এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে যান। এরপর দুই-একটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচীব হারুনুর রশীদ পাপ্পু জানান, ৩-৪ দিন আগে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী ওই কার্যালয়ে ছিলেন। এ সময় মাস্ক পরা কয়েকজন যুবক কার্যালয়ে হামলা করে। এরপর বিএনপি নেতাকর্মীরা চলে যান। শনিবার সন্ধ্যার পর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মলামসহ চার জন ওই কার্যালয়ে যান। এরপর রাত ৮টার দিকে চলে যান তারা। সাড়ে ৮টার দিকে কার্যালয়ে কে বা কারা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

হারুনুর রশীদ পাপ্পু দাবি করেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে যোগ দিতে না যান, সেজন্য একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টায় ওই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে কার্যালয় ভাঙচুর এবং এই ‌ঘটনার হোতাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।