৭ দিনের আল্টিমেটাম, না হলে ফের ধর্মঘট

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দরে ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতির ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। 

শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি ইউনিয়নসহ চারটি সংগঠন আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। এরপর রবিবার শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট পালন করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও আসামিদের গ্রেফতারে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। 

আগামী শনিবারের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে রবিবার থেকে ধর্মঘট পালন করবে বলে জানিয়েছেন ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাজাহান সিরাজ ও কার্যকরী সভাপতি মানিক মির্জা।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন বলেন, ট্যাংকলরি অফিসে ডাকাতির ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। আসামিদের গ্রেফতারে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। তখন আমি, ওসি ও সার্কেল এসপি সেখানে গিয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। তারা শনিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। রবিবার তারা আবারও ধর্মঘটের ডাক দেয়। এরপর গতকাল রবিবার তাদের সঙ্গে আলোচনার পর পুনরায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তারা পুনরায় সাত দিনের সময় দিয়েছে।

শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, ডাকাতি ঘটনার পর ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়। পুলিশ সুপার  নিজেও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
 
উত্তরবঙ্গ ট্র্যাংকলরি সমবায় শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মানিক মির্জা বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। ডাকাতদের গ্রেফতারে আগামী শনিবার পর্যন্ত সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেফতার করতে না পারলে আগামী রবিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে আবারও ধর্মঘট পালন করা হবে। এ সময় তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নসহ চারটি প্রতিষ্ঠানে পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতি করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তারা প্রায় ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মামলা করা হলেও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন শ্রমিক নেতারা। পরে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তা আবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।