বিএনপির ১৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার মামলা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ ১৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ আহমেদ রবিবার (২০ নভেম্বর) রাতে নন্দীগ্রাম থানায় মামলাটি করেন।

ঘটনার পর পুলিশ বিএনপি অফিস থেকে যুবদল নেতা মনসুর রহমান ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে, মামলার দায়েরের ঘটনায় সোমবার মোবাইল ফোনে বাদী ছাত্রলীগ নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে করা হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বিকালে থানায় জিডি করেছেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ আহমেদ দাবি করেন, গত কয়েকদিন আগে শেরপুর উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলা হয়। এর প্রতিবাদে রবিবার বিকালে নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এ কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমবেত হচ্ছিলেন। কয়েকজন নেতা নন্দীগ্রাম ফিলিং স্টেশনের সামনে বসে চা পান করছিলেন। পাশেই বিএনপি অফিসে তাদের নেতাকর্মীরা ছিলেন। কিছুক্ষণ পর বিএনপি অফিস থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী বের হয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের লক্ষ্য করে পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেন।

তিনি আরও দাবি করেন, একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলেও কেউ আহত হননি। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তাদের বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। ককটেল হামলার ঘটনায় রবিবার রাতে মামলা করেন। এ জন্য সোমবার সকালে তাকে ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিকালে তিনি থানায় জিডি করেছেন।

ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ অস্বীকার করে নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার দাবি করেন, তাদের নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে ও আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপি সমাবেশে উপস্থিতি কমানোর উদ্দেশ্য মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তারেক রহমানের জন্মদিনের অনুষ্ঠান পণ্ড করতে ছাত্রলীগ নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।তাদের কোনও নেতাকর্মী ছাত্রলীগ নেতা শুভকে ফোনে হত্যার হুমকি দেননি।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলার বাদী শুভ আহমেদ থানায় জিডি করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।