সীমান্তে গুলিতে একজনের মৃত্যু, আহত ১

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে শামীম রেজা নামে এক বালাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরেকজন। বিএসএফের গুলিতে এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।    

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে জেলার জহুরপুর সীমান্তে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে। নিহত শামীম (২৫) শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সড়াপাড়া গ্রামের বাইরুল ইসলামের ছেলে। আর আহত শরিফুল একই উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পোড়াপাড়া গ্রামের মৃত সোহবুল হোসেনের ছেলে।

শামীমের পরিবার ও স্বজনরা জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যার পর ৮/১০ জনের একটি দলের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন শামীম রেজা। এরপর অন্যারা বাড়ি ফিরে এলেও নিখোঁজ ছিলেন শামীম। ফিরে আসা গরুর রাখালরা জানান শামীম রেজা বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে।

শামীমের মা সেরিনা বেগম বলেন, এর আগে কোনোদিন আমার ছেলে ভারতে যায়নি। হঠাৎ করে গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর রাতে ফিরে আসেনি। হঠাৎ সকালে শুনছি বিএসএফের গুলিতে আমার ছেলে মারা গেছে। কিন্তু কীভাবে কী হলো আমি কিছুই জানি না। এখন পর্যন্ত আমার ছেলে নিখোঁজ আছে। কোনও খোঁজ পাচ্ছি না।

স্থানীয় বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম জানান, গতরাতে ১০/১২ জন রাখাল মিলে ভারতে গরু আনতে যায়। তারা বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের দুই কিলোমিটার  ভেতরে বিএসএফ চাঁদনিচক ক্যাম্পের কাছে মরাগাঙ্গ নদী পার হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলই নিহত হন শামীম রেজা। এছাড়া হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন শরিফুল ইসলাম।

এদিকে, শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরি জোবায়ের আহম্মেদ সীমান্তে হতাহতের বিষয়টি শুনেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। দুর্লভপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল গফুর শামীমের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ এখনও ভারতের অভ্যন্তরে আছে।

পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক শরিফুল আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেন, শরিফুল ইসলামকে গোপনে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। তবে কোথায় আছে তা জানি না।

অপরদিকে ৫৩ বিজিবি ব্যটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেন জানান, সকাল থেকেই জহুরপুর সীমান্তে একজন নিহতের গুঞ্জন আমরাও শুনেছি। আমাদের সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজিবি আরও জানিয়েছে, এ বিষয়ে পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বিজিবির কাছে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ করেনি।