পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ১১ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন

বগুড়ার গাবতলীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের মামলায় আসামি হায়দার আলীকে (৫১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ এক যুগ পর সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, হায়দার আলী বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা। পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ওই মেয়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। সুযোগ পেলেই ওই বাড়িতে গিয়ে আড্ডা দিতো। ২০১১ সালের ২৭ মে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছিল। ওই ছাত্রীর মা-বাবা রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক সদস্য প্রার্থী আত্মীয়ের পক্ষে প্রচারণা চালাতে যান। তাদের মেয়ে বাড়িতে একা থাকায় হায়দার আলী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীর মা একই বছরের ১০ জুলাই গাবতলী থানায় হায়দার আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। গ্রেফতারের পর সে জামিনে ছাড়া পায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাবতলী থানার তৎকালীন এসআই
হযরত আলী ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত একমাত্র আসামি হায়দার আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট জাকিউল আলম সোহেল মামলা পরিচালনা করেন। পরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বগুড়া জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।