ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক যুবলীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাবেক যুবলীগ নেতা আবদুস সালামের (৪৮) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন। রবিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে নন্দীগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর মা রাতেই নন্দীগ্রাম থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, আবদুস সালাম নন্দীগ্রাম উপজেলার ঢাকইর মধ্যপাড়ার সোলাইমান প্রামানিকের ছেলে। সে উপজেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দলিল লেখক। ভুক্তভোগীর বাবার সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো। বাবা মারা যাওয়ায় ওই পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব নেয় সালাম। রবিবার সন্ধ্যার দিকে ওই মেয়ের মা বাড়িতে না থাকায় ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছাত্রীর মা বাড়িতে এসে এ অবস্থা দেখে চিৎকার দেন। তখন প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আবদুস সালামকে আটক করে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। রাতেই ছাত্রীর মা থানায় সালামের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বাবার অবর্তমানে তাদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য সালাম বাড়িতে যাতায়াত করতো। প্রায় দেড় বছর আগে থেকে তাকে বিয়ের প্রলোভনে মেলামেশা করতে চাইতো। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়িতে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে জানালে বড় ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছিল। একাধিকবার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করে। এ ছাড়া বিয়ে করার কথা বলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নেয়। ভুক্তভোগী তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল ও আদালতে পাঠানো হয়েছে।